সংশোধনের অপেক্ষায় থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) আবেদন নিষ্পত্তি কার্যক্রম আরও সহজ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অসৎ উদ্দেশ্য না থাকলে এনআইডির সংশোধনী আবেদনগুলো সহজভাবে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল বলেন, যেসব এনআইডি সংশোধনের আবেদন দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে, এটাকে কী করে সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বিষয়গুলো মনে হবে, ব্যক্তি নাগরিকদের যদি অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে, সেগুলোকে সহজভাবে সমাধান করে দেওয়া হবে। অনেকে দ্বৈত কার্ড বা এনআইডি নিয়েছে। এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। তাদের ক্ষেত্রে ভুলভাবে কেউ দুইবার নিলে প্রথমটা থাকবে, দ্বিতীয়টা বাদ যাবে।
এছাড়া বয়স বেশি কিন্তু তা কমিয়ে একটা চাকরি নিয়েছে এমন হলে আমরা নিরুৎসাহিত করবো। এমন হলে সেটা কমিশন পর্যন্ত আসবে। আবার পুরো পরিচয় পরিবর্তন করতে চাইলে আমরা কঠোর হবে। এ ক্ষেত্রে সময় লাগলেও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করতে হবে। ডাটা সেন্টারের স্বচ্ছতার জন্যও এটা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ম্যাচ ফাউন্ড আছে দুই লাখ ৯ হাজার। যেটা দশমিক ১৬ শতাংশ। অনেক সময় শ্রমিক ভাই বা মা-বোনদের কারো কারো আঙ্গুলের ছাপ পরিষ্কার থাকে। অনেক সময় এ কারণে ফলস ম্যাচ আসে। এগুলো যেন দ্রুত করতে পারি, সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকেই দুই আইডি নেওয়ায় ম্যাচ হয়েছে। এটা নাইন আউট অব টেন। যারা আমাদের সেবা নিয়ে থাকে, সেই আইনটা সহজ করে যেন সেবাটা সহজে দেওয়া যায়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত করেছি। এটা এখন পাঠিয়ে দেব। এখানে তিন ধরনের ক্যাটাগরি ছিল। যেটা আশু বাস্তবায়নযোগ্য কিন্তু রাজনৈতিক কোনো বিতর্ক নেই, সেগুলো আমরা দিয়ে দিয়েছি। যেগুলো ঐক্যমত্যের বিষয় আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করিনি। আবার যেগুলো আগে দিয়েছি সেগুলো বলেছি। কিছু আছে নির্বাচন কমিশন নিজেই বাস্তবায়ন করবে। বিধি সংশ্লিষ্ট যেগুলো সেগুলো ইসি করতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো যে বিষয়গুলোতে একমত হবে, সেগুলো নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
ইসি সচিব বলেন, কেউ বলেছে ব্যালট পেপারে জলছাপ। এর সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এটা আমরা আশু বাস্তবায়নযোগ্য মনে করি না। ১০ থেকে ১০ সুপারিশ হবে। যে বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন এবং আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে এই বিষয়গুলো বাদে অন্যগুলো নিয়ে আমরা সুপারিশ করেছি।
খুলনা গেজেট/এএজে